Subscribe Us

header ads

ব্যাকরণ : ধ্বনি ও বর্ণ (১ম পর্ব)

ব্যাকরণ : ধ্বনি ও বর্ণ


ব্যাকরণ : ধ্বনি ও বর্ণ

মানুষের বাক প্রত্যঙ্গ (অর্থাৎ কণ্ঠনালি, জিহ্বা, দাঁত, চোয়াল, ঠোঁট ইত্যাদি) সাহায্যে উচ্চারিত আওয়াজকে ধ্বনি বলে।

ধ্বনি কাকে বলে?

বাক প্রত্যঙ্গজাত ধ্বনির সূক্ষ্মতম মৌলিক অংশ বা একক (Unit) কে ধ্বনিমূল বা Phoneme বলে। 

বর্ণ কাকে বলে?

— বাক প্রত্যঙ্গজাত ধ্বনি প্রকাশের প্রতীক বা চিহ্নকে বর্ণ বলে। 

ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে পার্থক্য কী?

— একটি মৌখিক এবং অপরটি লৈখিক রূপ। অর্থাৎ ধ্বনি লিখিতভাবে প্রকাশের প্রতীক বা চিহ্ন হল বর্ণ। 

✔ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত মৌলিক ধ্বনিগুলোর প্রকারভেদ আলোচনা কর।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত মৌলিক ধ্বনিগুলো ২ ভাগে বিভক্ত। যথা : 

১. স্বরধ্বনি
২. ব্যঞ্জনধ্বনি

১. স্বরধ্বনি : স্বাভাবিক কথাবার্তা বলার সময় যে ধ্বনি অন্য কোনো ধ্বনি সাহায্য / সহযোগিতা ছাড়া স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়, সেগুলোকে স্বরধ্বনি (একে স্বরবর্ণ ও বলা যায়) বলে। 

বাংলা ভাষায় ১১ টি স্বরবর্ণ বা স্বরধ্বনি আছে। যথা— অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ 

২. ব্যঞ্জনধ্বনি : স্বাভাবিক কথাবার্তা বলার সময় যে ধ্বনি অন্য কোনো ধ্বনি সাহায্য / সহযোগিতা ছাড়া স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয় না, সেগুলোকে ব্যঞ্জনধ্বনি (একে ব্যঞ্জনবর্ণ ও বলা যায়) বলে। বাংলা ভাষায় ৩৯ টি ব্যঞ্জনবর্ণ আছে। 

স্বরধ্বনি কয় প্রকার। 

— উচ্চারণের তারতম্য বা সময়ভেদে স্বরধ্বনিকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন— 

(ক) হ্রস্ব–স্বর
(খ) দীর্ঘ–স্বর

ব্যাকরণ : ধ্বনি ও বর্ণ


(ক) হ্রস্ব–স্বর : যে ধ্বনি উচ্চারণে অল্প সময়ের প্রয়োজন হয়, তাকে হ্রস্ব–স্বর বলে। হ্রস্ব–স্বর হলো ৪ টি। যথা— অ, ই, ঊ, ঋ। 

(খ) দীর্ঘ–স্বর : যে ধ্বনি উচ্চারণে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়, তাকে দীর্ঘ–স্বর বলে। দীর্ঘ–স্বর ৭ টি। যথা— আ, ঈ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ। 

ব্যঞ্জনবর্ণ কয় প্রকার।

— ব্যঞ্জনবর্ণ প্রধানত ৪ প্রকার। যথা—

(ক) স্পর্শ বর্ণ
(খ) উষ্ম বর্ণ
(গ) অন্তঃস্থ বর্ণ
(ঘ) অনুনাসিক / সানুনাসিক বর্ণ

(ক)  স্পর্শ বর্ণ

'ক' থেকে 'ম' পর্যন্ত ২৫ টি ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের সময় কণ্ঠ, তালু, মূর্ধা, দাঁত ও ওষ্ঠোর সংস্পর্শে উচ্চারিত হয় বলে এদেরকে স্পর্শ বর্ণ বলে।

স্পর্শ বর্ণকে আবার ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এদের প্রতি বিভাগ কে বর্গ বলে। যথা—

ক বর্গ : ক খ গ ঘ ঙ।
খ বর্গ : চ ছ জ ঝ ঞ।
ট বর্গ : ট ঠ ড ঢ ণ।
ত বর্গ : ত থ দ ধ ন।
প বর্গ : প ফ ব ভ ম।

(খ) উষ্ম বর্ণ : শ, ষ, স, হ –এই ৪ টি বর্ণ উচ্চারণে বায়ুর প্রাধান্য আছে বলে এদেরকে উষ্ম বর্ণ বলে। 

(গ) অন্তঃস্থ বর্ণ : য, র, ল, ব –এই ৪ টি বর্ণ উচ্চারণের সময় স্বরবর্ণ ও স্পর্শ বর্ণের মধ্যবর্তী বলে এদের কে অন্তঃস্থ বর্ণ বলে। 

(ঘ) অনুনাসিক / সানুনাসিক বর্ণ : ঙ, ঞ, ন, ম এই কয়টি বর্ণ উচ্চারণের সময় বায়ু মুখ ও নাকের মধ্য দিয়ে বের হয় বলে এই বর্ণগুলোকে অনুনাসিক বা সানুনাসিক বর্ণ বলে। 

বাকি অংশ পরবর্তী লেখায় : Click for more


আরো পড়ুনঃ Paragraph : Eid Day  Application : Opening Language Club  বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য : GST

Post a Comment

0 Comments