ব্যাকরণ : ধ্বনি ও বর্ণ
বাক প্রত্যঙ্গজাত ধ্বনির সূক্ষ্মতম মৌলিক অংশ বা একক (Unit) কে ধ্বনিমূল বা Phoneme বলে।
✔ বর্ণ কাকে বলে?
— বাক প্রত্যঙ্গজাত ধ্বনি প্রকাশের প্রতীক বা চিহ্নকে বর্ণ বলে।
✔ ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে পার্থক্য কী?
— একটি মৌখিক এবং অপরটি লৈখিক রূপ। অর্থাৎ ধ্বনি লিখিতভাবে প্রকাশের প্রতীক বা চিহ্ন হল বর্ণ।
✔ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত মৌলিক ধ্বনিগুলোর প্রকারভেদ আলোচনা কর।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত মৌলিক ধ্বনিগুলো ২ ভাগে বিভক্ত। যথা :
১. স্বরধ্বনি২. ব্যঞ্জনধ্বনি
১. স্বরধ্বনি : স্বাভাবিক কথাবার্তা বলার সময় যে ধ্বনি অন্য কোনো ধ্বনি সাহায্য / সহযোগিতা ছাড়া স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়, সেগুলোকে স্বরধ্বনি (একে স্বরবর্ণ ও বলা যায়) বলে।
বাংলা ভাষায় ১১ টি স্বরবর্ণ বা স্বরধ্বনি আছে। যথা— অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ
২. ব্যঞ্জনধ্বনি : স্বাভাবিক কথাবার্তা বলার সময় যে ধ্বনি অন্য কোনো ধ্বনি সাহায্য / সহযোগিতা ছাড়া স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয় না, সেগুলোকে ব্যঞ্জনধ্বনি (একে ব্যঞ্জনবর্ণ ও বলা যায়) বলে। বাংলা ভাষায় ৩৯ টি ব্যঞ্জনবর্ণ আছে।
✔ স্বরধ্বনি কয় প্রকার।
— উচ্চারণের তারতম্য বা সময়ভেদে স্বরধ্বনিকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন—
(ক) হ্রস্ব–স্বর : যে ধ্বনি উচ্চারণে অল্প সময়ের প্রয়োজন হয়, তাকে হ্রস্ব–স্বর বলে। হ্রস্ব–স্বর হলো ৪ টি। যথা— অ, ই, ঊ, ঋ।
(খ) দীর্ঘ–স্বর : যে ধ্বনি উচ্চারণে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়, তাকে দীর্ঘ–স্বর বলে। দীর্ঘ–স্বর ৭ টি। যথা— আ, ঈ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ।
✔ ব্যঞ্জনবর্ণ কয় প্রকার।
(গ) অন্তঃস্থ বর্ণ : য, র, ল, ব –এই ৪ টি বর্ণ উচ্চারণের সময় স্বরবর্ণ ও স্পর্শ বর্ণের মধ্যবর্তী বলে এদের কে অন্তঃস্থ বর্ণ বলে।
(ঘ) অনুনাসিক / সানুনাসিক বর্ণ : ঙ, ঞ, ন, ম এই কয়টি বর্ণ উচ্চারণের সময় বায়ু মুখ ও নাকের মধ্য দিয়ে বের হয় বলে এই বর্ণগুলোকে অনুনাসিক বা সানুনাসিক বর্ণ বলে।
বাকি অংশ পরবর্তী লেখায় : Click for more
আরো পড়ুনঃ Paragraph : Eid Day Application : Opening Language Club বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য : GST
0 Comments