Subscribe Us

header ads

মোটিভেশনাল কথা (Motivational Speech)


📒মোটিভেশন স্পিক 

📒  Motivation Talk

📒 সাফল্য অর্জনের ফুটনোট


জীবনে সবাই সাফল্য আশা করেন। কিন্তু সাফল্য সবার কাছে সীমানা ধরা দেয় না। কোনো কাজে সাফল্যের আশা করে সৌভাগ্যের উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। আবার যদি সঠিক পথে অগ্রসর না হয়ে গাধার মতো খেটে যান, তাহলেও সাফল্য আশা করতে পারবেন না। সাফল্য লাভ করতে হলে কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হবে :—


১. যদি লক্ষ্য অর্জনের পথটি সুগম করতে চান, তবে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। এজন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। পিছিয়ে পড়ার মনোভাব বর্জন করুন।


২. আচার — আচরণে ভদ্র, নম্র ও সংযত হন। ভালো ব্যবহার দিয়ে যতকিছু সহজে অর্জন করতে পারবেন; অন্যকিছু দিয়ে তা সম্ভব নয়।


৩. নিজের ইচ্ছা, বাসনা, আবেগ জ কামনাকে নমনীয় করে তুলুন।


৪. অন্যের সমালোচনায় মনোনিবেশ না করে নিজের কাজে মন দিন।


৫. নিজের আত্মসম্মান, আত্মজ্ঞান ও আত্মনিয়ন্ত্রণ—বোধকে দৃঢ় করে তুলুন। শক্তির অপব্যয় করবেন না।


৬. শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য সারাজীবন ধরে শিক্ষালাভ করে যেতে হবে।


৭. যিনি কিছু শিখতে চান, তিনি বিনয়ী হয়ে জ্ঞানার্জন করবেন।


৮. জীবনকে এলোমেলো হয়ে যেতে দিবেন না; গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেবেন না।


৯. বেশি কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করুন; অন্যকে গুরুত্ব দিন। অন্যের বক্তব্য মন দিয়ে শুনুন।


১০. সময়ের মূল্য দিন এবং গুরুত্ব দিয়ে সময়কে গ্রহণ করুন। অযথা সময় নষ্ট করবেন না। পরিকল্পনার ছক অনুযায়ী কাজ করবেন।


১১. আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তি রাখুন; জীবন নামের জাহাজটিকে নিজেই পরিচালনা করুন।


১২. আত্মবিশ্বাস আপনাকে চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে। জীবনের ছোটখাটো সাফল্যগুলোকে একত্রিত করে দেখুন; তাহলে নিজের উপর বেশ আস্থাশীল হয়ে উঠবেন।


১৩. আপনি কতটা দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন, তা যদি আর সবাই জানতে না পারে, তবে আপনার কোনো দাম নেই। এজন্য সবার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। যাতে আপনার কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে অন্যেরা স্বচ্ছ ধারণা পান।


১৪. চূড়ান্ত লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত ধীর স্থির এবং শান্ত থাকুন। কারন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও ব্যর্থ হতে পারেন— যদি আপনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।


১৫. যাদের উপকার করেছেন, তারা আপনার কোনো না কোনো কাজে কিংবা উপকারে লাগতেও পারে। তবে সবার কাছ থেকে সব সময় উপকার আশা করবেন না।


১৬. নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যারা কাজে লাগতে পারে, তাদের সাথে চমৎকার একটা যোগাযোগ গড়ে তুলুন।


১৭. যে ব্যক্তি তার আশেপাশের লোককে অবজ্ঞা করে, সে অনেক কিছু শেখা ও অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়।


১৮. আবেগতাড়িত হয়ে কখনো কোনো কাজ করতে যাবেন না। সাফল্য পেতে হলে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


১৯. অপরের কৃতিত্বের ন্যায্য প্রশংসা করতে কার্পণ্যবেধ করবে না। এতে আপনার কোনো লক্ষ্য অর্জনে সে হয়ত বন্ধুর মতো হাত বাড়িয়ে দেবে।


২০. কোনো কিছুকে স্পষ্ট করে দেখতে চাইলে কিছুটা দূর থাকা থেকে দেখতে হয়। হাতের তালুর দিকে আধ হাত দূরে থেকে তাকান, প্রতিটি রেখা স্পষ্ট দেখতে পাবেন। চোখের কাছে নিয়ে আসুন, একেবারে ঝাপসা। 


২১. আপনি যে কাজে নিয়োজিত সে কাজের সম্পৃক্ত বইপত্র পড়ুন; অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন।


২২. আপনি সব কাজ ঠিকঠাক মতো করার পরেও ব্যর্থ হতে পারেন। এজন্য ব্যর্থতার দিকটাও মাথায় রাখুন। যাতে পুনরায় কাজটি শুরু করার সময় আগে যেসব কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন, তার কার্যকারিতা যাচাই করতে পারেন।


২৩. আপনার আশেপাশে যারা থাকে, তাদেরকে কথা বলে আকৃষ্ট করতে পারছেন কি? যদি মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেন, তবে তারা আপনাকে নেতৃত্বে দেখে খুশী হবে।


২৪. যখন কথা বলবেন, তখন আপনার কথা শুনে যেন সকলে আনন্দিত হয়। সেই সাথে যেন মনে হয়— কথাগুলো সুরের মূর্ছনায় ভরা।


২৫. কিছু মানুষ আছে যারা অন্যকে বলার সুযোগ না দিয়ে বৃষ্টির ধারার মতো অঝরে কথা বলে যান। অপর ব্যক্তির কথাটাও ভাবুন; তারও তো কিছু বলার থাকতে পারে। বক্তার চেয়ে একজন মনোযোগী শ্রোতা বেশি জনপ্রিয়তা পেতে পারেন।


২৬. আপনার ব্যবহারে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাবে। সমবয়স্কদের সাথে ব্যবহার হবে হাসিখুশি, উদার ও খোলামেলা। বয়স্কদের সাথে আপনি হবেন বিনয়ী ও নম্র স্বভাবের। আর ছোটদের উপর অযথা মুরুব্বিয়ানা ফলাতে যাবেন না।


২৭. ব্যক্তিত্ব অনায়াসে লাভ করা যায় না; এর জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্লেষণ, চলার পথের নানাবিধ ত্রুটি, অসুবিধা ও বাধা জয়ের মধ্য দিয়েই প্রকৃত সাফল্য আসে৷  

Post a Comment

2 Comments