Subscribe Us

header ads

ব্যাকরণ : ধ্বনি ও বর্ণ (২য় / শেষ পর্ব)

ব্যাকরণ : ধ্বনি ও বর্ণ


ধ্বনি ও বর্ণ 

পার্ট—১ এর পর থেকে

অল্পপ্রাণ, মহাপ্রাণ, ঘোষ বর্ণ, অঘোষ বর্ণ, পৃষ্ঠ বর্ণ, ঘৃষ্ট বর্ণ, অযোগবাহ বা পরাশ্রিত বর্ণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 

  • অল্পপ্রাণ বর্ণ : ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের সময় ফুসফুস চালিত বাতাসের চাপ অল্প থাকলে এদেরকে অল্পপ্রাণ বর্ণ বলে। বর্গের প্রথম, তৃতীয় বর্ণগুলো হলো অল্পপ্রাণ বর্ণ। যেমন— ক, গ, চ, জ ইত্যাদি।

  • মহাপ্রাণ বর্ণ : ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের সময় ফুসফুস চালিত বাতাসের চাপ অধিক হলে এদেরকে মহাপ্রাণ বর্ণ বলে। বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণগুলো হলো মহাপ্রাণ বর্ণ। যেমন— খ, ঘ, ছ, ঝ ইত্যাদি।

  • ঘোষ ধ্বনি : ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হলে তাকে ঘোষ ধ্বনি বলে। বর্গের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ণ হলো ঘোষ ধ্বনি৷ যেমন— গ, ঘ, জ, ঝ ইত্যাদি

  • অঘোষ ধ্বনি : কোনো কোনো ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না। তখন ধ্বনিটির উচ্চারণ গাম্ভীর্যহীন ও মৃদু হয়ৃ এরূপ ধ্বনিকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন— ক, খ, চ, ছ ইত্যাদি।

  • পৃষ্ঠ বর্ণ : যে সব ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণকালে মুখের ভেতরের বিশেষ স্থানে পৃষ্ঠ হয়, তাকে পৃষ্ঠ বর্ণ বলে। যেমন— ক বর্গ, ট বর্গ, প বর্গের প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণগুলো পৃষ্ঠ বর্ণ।

  • ঘৃষ্ট বর্ণ : কতগুলো বর্ণ উচ্চারণের সময় জিহ্বা তালুর সংস্পর্শে বায়ুর ঘর্ষণজাত ধ্বনি বের হয়, তাকে ঘৃষ্ট বর্ণ বলে। যেমন— চ, ছ, জ, ঝ ঘৃষ্টবর্ণ।

  • পরাশ্রিত বর্ণ : অনুস্বর বা বিসর্গ (ং, ঃ) অন্য বর্ণের আশ্রয়ে ব্যবহৃত হয় বলে এগুলোকে পরাশ্রিত বর্ণ বলে।
ব্যাকরণ : ধ্বনি ও বর্ণ


উচ্চারণের স্থান অনুসারে বর্ণ বিভাগ বা ধ্বনি বিভাগ দেখাও। 

উচ্চারণের স্থান অনুসারে বর্ণগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
  1. কণ্ঠ ধ্বনি : অ, আ, ক–বর্গ, হ।
  2.  তালব্য ধ্বনি : ই, ঈ, চ–বর্গ, শ৷
  3. মূর্ধণ্য ধ্বনি : ঋ, ট–বর্গ, র, য।
  4. দন্ত্য ধ্বনি : ত–বর্গ, ল এবং স।
  5. ওষ্ঠ ধ্বনি : উ এবং প–বর্গ।
  6. কণ্ঠ তালব্য : ঐ
  7. কণ্ঠোষ্ঠ্য : ও এবং ঔ
  8. দন্তৌষ্ঠ ধ্বনি : অন্তঃস্থ বর্ণ।
সংযুক্ত বর্ণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

— দুই বা আরো অধিক ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে কোনো স্বর ধ্বনি না থাকলে দুই বা আরো অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রে উচ্চারিত হয়। এরূপ মিলিত বর্ণকে সংযুক্ত বর্ণ বলে। যেমন—

ক + ত = ক্ত ; শক্ত, পোক্ত, শক্তি ইত্যাদি।
ঙ + ক = ঙ্ক ; অঙ্ক, আঙ্কেল ইত্যাদি।
ভ + র = ভ্র ; শুভ্র ইত্যাদি।

ফলা কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 

— য, র, ন, ম, ব যখন অন্য কোনো ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত হয় তখন তাদেরকে ফলা বলে। যেমন— ত + য = ত্য, ত + র = ত্র, ত + ন = ত্ন, ত + ম = ত্ম, ত + ব = ত্ব ইত্যাদি।

Post a Comment

0 Comments