Subscribe Us

header ads

ব্যাকরণ : ভাষা

ব্যাকরণ : ভাষা
ভাষা  
ভাষা 


📊 প্রথম অধ্যায়

📊  ভাষা 


✔ ভাষা কাকে বলে?

মানুষের মনের ভাব প্রকাশের একমাত্র বাহনই হচ্ছে ভাষা। ভাষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে সাধারণভাে বলা হয়— " মানুষ যা ব'লে বা লিখে অন্যের কাছে মনের ভাব প্রকাশ করে তাকেই ভাষা বলে।'' 

কিন্তু ভাষার আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত সংজ্ঞা দিতে গেলে বলতে হয়— " মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বাক যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে ভাষা বলে।" 

✔ বাংলা ভাষা কাকে বলে? 

পৃথিবীর সকল দেশের মানুষেরই নিজস্ব ভাষা আছে। রাশিয়ার মানুষের রুশ ভাষা, আরবদেশে আরবি ভাষা, চীন দেশে চীনা ভাষা, ইংল্যান্ডের মানুষের ইংরেজি ভাষা। আমরা বাংলাদেশের অধিবাসী। আমরা যে ভাষায় আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি তার নাম বাংলা ভাষা। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও বিহারের কোন কোন অঞ্চলের অধিবাসীরা বাংলা ভাষায় কথা বলে। ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মাতৃভাষা।

✔ মাতৃভাষা কাকে বলে?

জন্মের পর শিশু যে ভাষা মায়ের মুখ থেকে শুনে শিখে এবং বলে তাকে মাতৃভাষা বলে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা।

✔ রাষ্ট্রভাষা কাকে বলে? 

যে ভাষার মাধ্যমে রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়, তাকে রাষ্ট্রভাষা বলে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্যাবলী বাংলায় সম্পাদন করা হয় এবং প্রায় সকলেই বাংলা ভাষাতেই কথা বলে তাই আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।  

ব্যাকরণ : ভাষা


✔ বাগযন্ত্র কাকে বলে? 

বাগযন্ত্র অর্থাৎ বাকের যন্ত্র। বাক্ শব্দের অর্থ কথা। সুতরাং সহজ করে বলতে পারি, মানুষ তাড শরীরের যে যন্ত্রের সাহায্যে কথা বলে তাকে বাগযন্ত্র বলে। বাগযন্ত্রের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গগুলো হচ্ছে— (১) মুখ বিবর (২) নাসা পথ (৩) কন্ঠ বিবর (৪) দাঁত (৫) দন্তমূল (৬) তালু (৭) মূর্ধা (৮) স্বরযন্ত্র বা স্বরতন্ত্র (৯) গলনালী –এ প্রত্যঙ্গগুলোর সাহায্যে মানুষ ধ্বনি উচ্চারণ করে একে অন্যের সাথে কথা বলে। এগুলোকে একত্রে বাগযন্ত্র বলে।

✔ ভাষার কয়টি রূপ ও কী কী?  উদাহরণ দাও। 

পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার মতো বাংলা ভাষারও দু'টি রূপ আছে। যেমন—
(২) চলিত ভাষা। 

(১) সাধু ভাষা : সাধুভাষা বলতে সাধু বা শিষ্টজনের সাহিত্যের ভাষাকেই বুঝায়। গদ্য সাহিত্যের প্রসারের যুগ হতে যে রীতিতে সাহিত্য রচিত হয়, তাকে সাধু ভাষা বলে। এ ভাষায় কোন অঞ্চলের বিশেষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না বলে এই ভাষা সর্বজনগ্রাহ্য। উদাহরণ— তাহারা লেখাপড়া শিখিয়া মানুষ হইবে।

(২) চলিত ভাষা : দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষিত মানুষ কথা–বার্তা, আলাপ–আলোচনা ও একে অপরের কাছে ভাব বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে যে ভাষা–রীতি ব্যবহার করে, তাকে কথ্য ভাষা বা চলিত ভাষা বলে। প্রকৃতপক্ষে, মানুষের মুখে মুখে চলমান বলেই একে চলিত ভাষা বলে। উদাহরণ— তারা লেখাপড়া শিখে মানুষ হবে।

✔ চলিত বাংলা ভাষা ও আঞ্চলওক ভাষা কাকে বলে? 

বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মুখের ভাষাকেই চলিত বাংলা ভাষা বলে।

আর বাংলাদেশের অঞ্চলভেদে মানুষের ভাষা বা চলিত ভাষার বিভিন্ন রূপ দেখা যায়, তাকে আঞ্চলিক ভাষা বলে। যেমন— নোয়াখালী অঞ্চলের লোকের ভাষা ও বরিশং অঞ্চলের লোকের ভাষায় পার্থক্য দেখা যায়।

— নোয়াখালী : আঁরে চিনে না।
— বরিশাল : মোরে চেনো না।
— (শুদ্ধরূপ : আমাকে চিন না।)

Post a Comment

0 Comments