Subscribe Us

header ads

GST গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ষোলোকলা


GST গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ষোলোকলা


GST গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ষোলোকলা

GST গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ষোলোকলা প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার পর এডমিশন নামক জীবনযুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একসাথে একটি সমন্বিত পরীক্ষা নেওয়ার কথা ইউজিসিসহ দেশের বিজ্ঞজনরা বারবার বলে আসছিলো। কিন্তু প্রতিবছর এইচএসসি পরীক্ষার একটু আলোচনা হলেও প্রতিবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এককভাবে তাদের পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে দিত।কিন্তু এবছর দেশে প্রথমবারের মতো ২০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একসাথে সমন্বয় করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে GST ভর্তি পরীক্ষা ২০২০-২১ অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে শুরুতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পাবলিক সাধারন ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে GST ভর্তি বিজ্ঞপ্তি gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হবে, কিভাবে পরীক্ষার্থী বাছাই করা হবে, কোথায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে, মান বন্টন কেমন হবে এবং এ সম্পর্কিত আরোও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য ওয়েবসাইটি প্রকাশ করে।

গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ১৯ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে এই ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির (গুচ্ছ পদ্ধতি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান ছিলেন। প্রথমে ১৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও শেষে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতিতে আসার আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এখন পর্যন্ত মোট ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়।

গত ১৭ অক্টোবর ২০২১ তারিখ ১ নভেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় এবং সমন্বয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এককভাবে তাদের ভর্তি সার্কুলার দিতে শুরু করছে। তবে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদন ফী নেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।

যেহেতু প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার নতুন করে আবেদনের ফী জমা দিয়ে ভর্তিইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের আবেদন করতে বলা হয়েছে, সেজন্যে গুচ্ছের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটি আসন রয়েছে এবং কত মার্ক থাকলে কোথায় আবেদন করা ভালো হবে তার একটা বেসিক ধারনা দিতে আমাদের আজকের পোস্টটি।

১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : মোট দুই হাজার ৭৬৫টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ১ হাজার ২৪৫টি, মানবিকে ৮৫০টি, বাণিজ্য শাখায় ৫২০টি এবং চারুকলা (সবার জন্য) ১৫০টি।

২. শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : এক হাজার ৭০৩টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ১ হাজার ২১০টি, মানবিকে ৩১০টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৮৩টি।

৩. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : এক হাজার ২১৭টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ৬৪৫টি, মানবিকে ৪৩৫টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৯১টি।

৪. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট আসন সংখ্যা দুই হাজার ৩০৫টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ৫৫০টি, মানবিকে ১ হাজার ৪৭১টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৪৫০টি।

৫. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় : এক হাজার ৪৪০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ৬৪৯টি, মানবিক শাখায় ৪৬৩টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৩০২টি আসন রয়েছে।

৬. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় : এক হাজার ১৯০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ৫১৫টি, মানবিকে ২৭৩টি এবং বাণিজ্য শাখায় ২৫২টি।

৭. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় : এক হাজার ৬০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ২৭২টি, মানবিকে ৫৪০টি এবং বাণিজ্য শাখায় ২৪৮টি আসন রয়েছে।

৮. যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ৯১০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ৬৮৫টি মানবিকে ১০০টি এবং বাণিজ্য শাখায় ১৪০টি।

৯. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় : এক হাজার ৩১৫টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ৬৯২টি, মানবিক শাখায় ৩৯৮টি এবং বাণিজ্য শাখায় ২৮১টি।

১০. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : এক হাজার ২৮৫টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ৯৭০টি, মানবিকে ১৮৬টি এবং বাণিজ্য শাখায় ১২৯টি।

১১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : মোট দুই হাজার ৭৪৫টি আসনের মধ্যে এবার এক হাজার ৬০০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। আগের হিসেব অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান শাখায় এক হাজার ৪৬০টি মানবিকে ৩৮৫টি, বাণিজ্য শাখায় ৩১০টি এবং সম্মিলিত (সব বিভাগের জন্য) ৫৯০টি আসন রয়েছে।

১২. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে : দুই হাজার ৫টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ১ হাজার ৩৬০টি, মানবিকে ৩৬৫টি এবং বাণিজ্য শাখায় ২৮০ টি।

১৩. মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : মোট ৮১৫টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ৭৩৩টি, মানবিকে ২৮টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৫৪টি।

১৪. পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ৯২০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ৬৫০টি, মানবিকে ১৪৫টি এবং বাণিজ্য শাখায় ১২৫টি।

১৫. রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ১৫০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ৭৫টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৭৫টি।

১৬. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : মোট আসন সংখ্যা ৭৩০ টি। আসন বিন্যাসের তথ্য জানা যায়নি।

১৭. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি : ১০০ টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলোই বিজ্ঞান শাখার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মানবিক শাখা ও নেই বাণিজ্য শাখায় আসন নেই।

১৮. শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় :  ৯০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ৩০টি, মানবিক শাখায় ৩০টি এবং সবার জন্য ৩০টি।

১৯. বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ১৫০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ৯০টি মানবিক শাখায় ৩০টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৩০টি।

২০. রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় :  মোট ১৫৫টি আসনের মধ্যে মানবিকে ১২০টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৩৫টি।

GST গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ষোলোকলা


যেখানে আবেদন করতে পারো :

  •  যাদের স্কোর ৬০+ তারা লিস্টের ১–৪ ‍ ভার্সিটিতে আবেদন করতে পারো।
  •  যাদের স্কোর ৫০+ তারা লিস্টের ৫-৭ ভার্সিটিতে আবেদন করতে পারো।
  •  যাদের স্কোর ৪৫+ তারা লিস্টের ৮-১০ ভার্সিটিতে আবেদন করতে পারো।
  • যাদের স্কোর ৪০+ তারা লিস্টের ১১-১৪ ‍ভার্সিটিতে আবেদন করতে পারো।
  • যাদের স্কোর ৩০+ তারা লিস্টের ১৫-২০ ভার্সিটিতে আবেদন করতে পারো।

এটা আমাদের জাস্ট একটা ধারনা মাত্র৷ তুমি চাইলে নিজের পছন্দকে প্রায়োরিটি দিতে পারো। অর্থনৈতিক সমস্যা তুলনামূলক কম হলে চেষ্টা করবে বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে রাখতে৷ যেহেতু সব শিক্ষার্থীর জীবনের একটি লক্ষ্য থাকে পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ার। তাই বেশি মার্ক পাওয়া শিক্ষার্থীরা দয়া করে নিচের ভার্সিটিগুলোতে আবেদন করে অযথা সিট নষ্ট করবে না। বিনীতভাবে আবারো অনুরোধ বেশি মার্ক প্রাপ্তরা তোমরা একদম নিচের সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদন করিও না,তাহলে কম মার্ক প্রাপ্তদের জন্য সুবিধা হবে৷

নোটঃ যেহেতু প্রথমবার GST গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ভর্তি শুরু হতে যাচ্ছে তাই শিওর করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ফিনানশিয়াল অবস্থা ভাল থাকলে ২৫+ আবেদন করে রাখতে পারো।

Post a Comment

0 Comments