📒 সুন্দর করে কথা বলা
📒 শ্রুতি মধুর কথা বলতে যা প্রয়োজন
📒 গলার স্বর সুস্থ ও সু্ন্দর রাখার টিপস
▶ আলোচনা পর্ব : ২
পারস্পরিক যোগাযোগ, ভাববিনিময়, সম্পর্ক উন্নয়ন এর প্রধান মাধ্যম কথা। সুতরাং কথা বলার ভঙ্গি শব্দপ্রয়োগ, শব্দ উচ্চারণ যা গলার ভোকাল কর্ডের নিপুণতা বা সুস্থতার উপর নির্ভর করে। সুতরাং সেই ভোকাল কর্ডের সুস্থতা এবং ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কণ্ঠস্বর ঠিক রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই কন্ঠস্বরের অনুশীলন এবং ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেইসঙ্গে একটু ভেবে চিন্তে যত্ন করে সঠিক শব্দে ও উচ্চারণে মনের ভাবটি প্রকাশ করুন, সবার কাছে আকষর্ণীয় হয়ে উঠুন।
🔘 গলার স্বর সুন্দর রাখার কিছু নিয়ম :
১। পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে; অ্যালকোহল এবং চা কফি জাতীয় পানীয় শরীরকে পানিশূন্যতার দিকে নিয়ে যায়। ফলে এগুলো গ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে আরোপ করতে হবে।
২। ধূমপান পরিহার করতে হবে, ধূমপান গলার ক্ষতি এবং ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম কারন, এমনকি পরোক্ষ ধূমপানেও স্বরতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৩। স্বরের ওপর অত্যাচার বা স্বরের অপব্যবহার করা যাবে না। কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে চেঁচামেচি বা জোরে চিৎকার করা যাবে না। যদি কথা বলতে বলতে স্বর শুষ্ক, ক্লান্গ বা খসখসে মনে হয় তবে কথা বলা বন্ধ রাখতে হবে, তা না হলে স্বরতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
৪। প্রতিদিন কিভাবে কথা বলছেন তার প্রতি খেয়াল করুন কারন ভুলভাবে কথা বলার ধরণ আপনার স্বরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে সঠিক উচ্চারণে বাংলা, ইংরেজি বা অন্য ভাষা যুক্ত করে কথা বলা বা ভাববিনিময় মেধা বা ব্রেনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
৫। যারা সুন্দরভাবে বা সঠিক উচ্চারণে যত্ন নিয়ে কথা বলেন তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা যোগাযোগ রাখা এবং নিয়মিত ওইসব অনুষ্ঠান দেখা বা অংশ নেয়া যেখানে উচ্চারণ তত্ত্বকে বা প্রমিত ভাষা চর্চাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। আপনার বলার ধরণ তেমন হবে যেমনটি আপনি শুনবেন। আপনি যে শব্দ ভাণ্ডারের মধ্যে থাকছেন, শুনছেন বা বলছেন হঠাৎ করে কোনো অনুষ্ঠানে বা ব্যক্তির সাথে যদি অন্য সুরে বা টোনে নিজেকে কথার মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেন তবে কৃত্রিমতা এসে যাবে। এতে বিষয়টি শ্রুতিকটু হয়ে যেতে পারে এবং গলার মাসল টোনের ওপর চাপও পড়তে পারে।
0 Comments